জাতক ও জাতকের গুরুত্ব
জাতক হলো গৌতম বুদ্ধের নিজের পূর্বজন্ম কাহিনী।বৌদ্ধধর্ম মতে গৌতম বুদ্ধ এই জন্মের আগে অতীতকালে কর্মফল বা পূন্যের প্রভাবে বিভিন্ন কুল ও বংশে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর পূর্বজন্মের এ কাহিনীগুলোকে জাতক বলা হয়। বুদ্ধ নিজেই বিভিন্ন সময় ধর্মোপদেশ দেওয়ার সময় জাতক কাহিনীগুলো উদাহরন হিসেবে ধর্ম প্রচারকালে বলতেন। বিভিন্ন জন্মের সত্য কাহিনী নিয়ে রচিত এই গল্পসমূহকে ‘জাতক’ বলা হয়। নৈতিক শিক্ষার জন্য গল্প বলা ও গল্পের বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করা শ্রোতাদের জন্য সহজতর হয়। বৌদ্ধ সাহিত্যে ৫৫০ টি জাতক আছে। গল্পাকারে হিতোপদেশের মাধ্যমে ধর্মীয় নীতিবোধে উদ্বুদ্ধ করাই জাতকের মূল লক্ষ্য। জাতকের মধ্যে বিষয় বস্তু আলোচনায় তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। একারণে প্রত্যেক জাতকে তিনটি অংশ বা ভাগ আছে।এগুলো হলঃ
১। প্রথমে বুদ্ধ গল্পটি কোথায়, কখন, কাকে বলেছেন তার নির্দেশনা থাকে। এই বিবরণকে ভূমিকা বা প্রত্যুৎপন্ন বস্তু বলা হয়।
২। অতীত জন্মের পটভূমিকাকে উপলক্ষ্য করে বুদ্ধ জাতকটি তাঁর অনুসারীদের বলে থাকেন তাই এখানে একটি মূল বিষয় নিয়ে আলোচিত হয়, যাকে অতীত বস্তু বা মূল বিষয়বস্তু বলা হয়ে থাকে।
৩। জাতকের মূল চরিত্র বা অতীতের বোধিসত্ত্বই বর্তমানের বুদ্ধ।অতীত জীবনের সাথে বর্তমান জীবনের সম্পর্ক স্থাপন করা হয় যাকে সমবধান বা সমাধান বলা হয়।
জাতকের গুরুত্ব ও উপকারিতাঃ
জাতকের উপদেশ ও নীতি শিক্ষা মানুষকে মৈত্রী পরায়ণ, দয়াবান, সৎ ও আদর্শবান হতে শেখায়। জাতক পাঠে নীতি-নৈতিকতা, কর্তব্য পরায়ণতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, মানবতা প্রভৃতি গুণে গুণান্বিত হওয়া যায়। তাই জাতক শোনা ও পাঠ করা উপকারী। জাতকে মানুষের দায়িত্ব, কর্তব্য সম্পর্কে দিক নির্দেশনা আছে। জাতকের উপদেশগুলো অনুসরন করলে মহত্বতা ও মহানুভবতা বাড়ে। সাহিত্য হিসাবেও জাতকের গুরুত্ব অনেক বেশি।
১। প্রথমে বুদ্ধ গল্পটি কোথায়, কখন, কাকে বলেছেন তার নির্দেশনা থাকে। এই বিবরণকে ভূমিকা বা প্রত্যুৎপন্ন বস্তু বলা হয়।
২। অতীত জন্মের পটভূমিকাকে উপলক্ষ্য করে বুদ্ধ জাতকটি তাঁর অনুসারীদের বলে থাকেন তাই এখানে একটি মূল বিষয় নিয়ে আলোচিত হয়, যাকে অতীত বস্তু বা মূল বিষয়বস্তু বলা হয়ে থাকে।
৩। জাতকের মূল চরিত্র বা অতীতের বোধিসত্ত্বই বর্তমানের বুদ্ধ।অতীত জীবনের সাথে বর্তমান জীবনের সম্পর্ক স্থাপন করা হয় যাকে সমবধান বা সমাধান বলা হয়।
জাতকের গুরুত্ব ও উপকারিতাঃ
জাতকের উপদেশ ও নীতি শিক্ষা মানুষকে মৈত্রী পরায়ণ, দয়াবান, সৎ ও আদর্শবান হতে শেখায়। জাতক পাঠে নীতি-নৈতিকতা, কর্তব্য পরায়ণতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, মানবতা প্রভৃতি গুণে গুণান্বিত হওয়া যায়। তাই জাতক শোনা ও পাঠ করা উপকারী। জাতকে মানুষের দায়িত্ব, কর্তব্য সম্পর্কে দিক নির্দেশনা আছে। জাতকের উপদেশগুলো অনুসরন করলে মহত্বতা ও মহানুভবতা বাড়ে। সাহিত্য হিসাবেও জাতকের গুরুত্ব অনেক বেশি।