বাবেরু জাতক
অনেক দিন আগের কথা। তখন বারাণসীর রাজা ছিলেন ব্রহ্মদত্ত। এ সময় বোধিসত্ত্ব ময়ূরকুলে জন্মগ্রহণ করেন। ময়ূরের দেহ ও পালক ছিল সোনালি বর্ণের। বাস করত নিকটবর্তী এক গভীর বনে।
বারাণসীর পাশেই ছিল বাবেরু রাজ্য। একবার বারাণসীর কয়েকজন ব্যবসায়ী বাণিজ্যের আশায় বাবেরু রাজ্যের দিকে যাত্রা করল। নৌকা করে সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছিল। নৌকায় একটি দিক নির্ণয়কারী কাক ছিল। এতে গভীর সমুদ্রে পথ হারাবার ভয় ছিল না।
বণিকেরা বাবেরু রাজ্যে পৌছলেন। মজার ব্যাপার হলো, বাবেরু রাজ্যে তখন কোন পাখি ছিল না। বণিকদের কাছে বাবেরুবাসীরা কাকটিকে দেখে কেনার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করল। বণিকেরা একুশ কাহন (টাকা) দিয়ে কাকটি বিক্রি করে দিল।
বাবেরু রাজ্যের লোকেরা এতদিন পাখি দেখে নি। কাকটিকে কিনে তারা আনন্দিত। তারা কাকটিকে সোনার তৈরি একটি খাঁচায় রাখল। তাকে প্রতিদিন মাছ, মাংস, মিষ্টি, ফল ইত্যাদি খেতে দিত। কাক এভাবে তাদের যত্ন পেতে লাগল। কাকটি খুবই সুখে ছিল।
অন্য সময় আবার বণিকেরা বাবেরু রাজ্যে এল। ওরা এবার নৌকা সাজিয়ে মাস্তুলের উপর সুন্দর একটি ময়ূর বসিয়ে রাখল। ময়ূরটি হাততালি দিলে পেখম মেলে নাচত। সুর করে গান গাইত। ময়ূরের সৌন্দর্য এবং গুণ দেখে বাবেরুবাসীরা মুগ্ধ হলো। তারা অনেক দরাদরির পর এক হাজার টাকায় (কাহন) ময়ূরটি কিনে নিল।
সুন্দর ময়ূরটি কেনার পর বাবেরুবাসীরা খুবই খুশি। দলে দলে সবাই ময়ূর দেখতে এল। এদিকে কাকের যত্ন কমে গেল। কেউ তাকে আর দেখতে আসে না। এমনকি খাবারও দেয় না। ফলে স্বভাব সুলভ কাক কা কা করতে লাগল। উড়ে গিয়ে ময়লা আবর্জনায় বসল। আবর্জনা থেকে খাদ্য খেয়ে কোন রকমে জীবন কাটাচ্ছিল।
বুদ্ধের আর্বিভাবের পূর্বে সাধারণ সন্ন্যাসীরা সম্মান পায়। কিন্তু বুদ্ধের অমৃত ধর্মদেশনায় সন্ন্যাসীরে লাভ সৎকার কমে যায়। এসব সন্ন্যাসীরা কাকের সাথে তুলনীয়।
উপদেশ: গুণী ব্যক্তিরা সর্বত্র পূজিত হয়।
বারাণসীর পাশেই ছিল বাবেরু রাজ্য। একবার বারাণসীর কয়েকজন ব্যবসায়ী বাণিজ্যের আশায় বাবেরু রাজ্যের দিকে যাত্রা করল। নৌকা করে সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছিল। নৌকায় একটি দিক নির্ণয়কারী কাক ছিল। এতে গভীর সমুদ্রে পথ হারাবার ভয় ছিল না।
বণিকেরা বাবেরু রাজ্যে পৌছলেন। মজার ব্যাপার হলো, বাবেরু রাজ্যে তখন কোন পাখি ছিল না। বণিকদের কাছে বাবেরুবাসীরা কাকটিকে দেখে কেনার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করল। বণিকেরা একুশ কাহন (টাকা) দিয়ে কাকটি বিক্রি করে দিল।
বাবেরু রাজ্যের লোকেরা এতদিন পাখি দেখে নি। কাকটিকে কিনে তারা আনন্দিত। তারা কাকটিকে সোনার তৈরি একটি খাঁচায় রাখল। তাকে প্রতিদিন মাছ, মাংস, মিষ্টি, ফল ইত্যাদি খেতে দিত। কাক এভাবে তাদের যত্ন পেতে লাগল। কাকটি খুবই সুখে ছিল।
অন্য সময় আবার বণিকেরা বাবেরু রাজ্যে এল। ওরা এবার নৌকা সাজিয়ে মাস্তুলের উপর সুন্দর একটি ময়ূর বসিয়ে রাখল। ময়ূরটি হাততালি দিলে পেখম মেলে নাচত। সুর করে গান গাইত। ময়ূরের সৌন্দর্য এবং গুণ দেখে বাবেরুবাসীরা মুগ্ধ হলো। তারা অনেক দরাদরির পর এক হাজার টাকায় (কাহন) ময়ূরটি কিনে নিল।
সুন্দর ময়ূরটি কেনার পর বাবেরুবাসীরা খুবই খুশি। দলে দলে সবাই ময়ূর দেখতে এল। এদিকে কাকের যত্ন কমে গেল। কেউ তাকে আর দেখতে আসে না। এমনকি খাবারও দেয় না। ফলে স্বভাব সুলভ কাক কা কা করতে লাগল। উড়ে গিয়ে ময়লা আবর্জনায় বসল। আবর্জনা থেকে খাদ্য খেয়ে কোন রকমে জীবন কাটাচ্ছিল।
বুদ্ধের আর্বিভাবের পূর্বে সাধারণ সন্ন্যাসীরা সম্মান পায়। কিন্তু বুদ্ধের অমৃত ধর্মদেশনায় সন্ন্যাসীরে লাভ সৎকার কমে যায়। এসব সন্ন্যাসীরা কাকের সাথে তুলনীয়।
উপদেশ: গুণী ব্যক্তিরা সর্বত্র পূজিত হয়।